রিয়াজুল ইসলাম সেতু, কুষ্টিয়া : জীবিত অথচ জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাট গ্রামের মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা। এ কারণে নাগরিক অনেক সুবিধাই পাচ্ছেন না তিনি। নিবন্ধন করতে পারছেন না করোনা টিকা কার্যক্রমের সুরক্ষা অ্যাপেও। তবে খুব দ্রুতভাবে তাকে ভোটার তালিকায় জীবিত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানালেন এ কর্মকর্তা।
গত ৭ আগস্ট দেশ জুড়ে টিকা দান কর্মসূচিতে অংশ নিতে আগ্রহী কুষ্টিয়ার রাজিয়া সুলতানা। এজন্য সুরক্ষা অ্যাপে চলছে তার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। কিন্তু কিছু সময় পর অ্যাপের ফিরতি বার্তায় বলা হয় দুঃখিত। এভাবে কয়েকবার করার পর যখন হতাশ তখন জানতে পারেন জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জটিলতা আছে।
প্রতিবেশীদের কথায় রাজিয়া সুলতানা ছোটেন জেলার আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে। সেখানে গিয়ে আকাশ ভেঙে পড়ার মত খবর পান। জীবিত থেকেও সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক তথ্য ভাণ্ডারের তালিকায় তিনি এখন মৃত।
রাজিয়া সুলতানা তাজা সংবাদকে জানান ২০০৭ সালে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন প্রতিনিধিদের। ১০ বছর ধরে ব্যাংকের কাজসহ যাবতীয় অফিসের কাজ করেছেন এনআইডি দিয়ে। বর্তমানে মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় জানতে পারেন তিনি মৃত। এনআইডি কার্ড ঠিক না হলে তিনি করোনার টিকা নিতে পারছেন না। এনআইডিতে মৃত থাকায় বর্তমানে চিন্তিত ভুক্তভোগী রাজিয়া সুলতানা।
কুষ্টিয়া বটতৈল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম এ মোমিন মন্ডল তাজা সংবাদকে বলেন রাজিয়া সুলতানা এখনও জীবিত আছেন। তার ভোটার আইডি কার্ড সঠিক আছে। এ বিষয়ে রাজিয়া সুলতানা করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় মৃত দেখাচ্ছে তবে এ বিষয়ে তিনি জীবিত আছেন মর্মে তাকে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইদুর রহমান তাজা সংবাদকে বলেন রাজিয়া সুলতানা ভোটার তালিকায় মৃত থাকায় তিনি একটি আবেদন করেছেন তিনি। তবে খুব দ্রুত সময়ে তাকে ভোটার তালিকায় জীবিত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করা বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছে রাজিয়া সুলতানাসহ তার পরিবারের সবাই। জীবিত থেকেও কিভাবে মৃত এর সঠিক কোন উত্তর মেলেনি।
ভুক্তোভোগীর দেওয়া তথ্যে, ১৯৮৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুহুদা উপজেলার জয়রামপুর শেখপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রাজিয়া সুলতানা। ২০০৫ সালে বিবাহিত জীবনে কুষ্টিয়ার কবুরহাট গ্রামে স্বামীর সংসারে চলে আসেন। ২০১৮ সাল থেকে নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী তিনি মৃত।