এস.আর শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড স্হাপন হলে শতশত কৃষকের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটবে, এবং অত্র এলাকার মানুষের মাঝে ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটবে,বলে এলাকাবাসী জানান,তারা আরো বলেন যে আমাদের নিকট যে জমি ইন্ট্রাকো কিনেছে তা ছিল চরের জমি আর সেগুলো জমি আমাদের কোন উপকারে আসতো না আর সেই অ-কাজো জমি গুলো আমারা ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিঃমিঃ এর নিকট অনেক বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হয়েছি,যে টাকা দিয়ে আমরা অনত্র অনেক জমি কিনে চাষাবাদ করছি।
ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড বিগত ১৮/০৪/২০১৬ ইং তারিখে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় ৩০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য এলওআই প্রাপ্ত হয়। সে মোতাবেক ২৭/০৮/২০১৭ ইং তারিখে সরকারের সহিত পিপিএ স্বাক্ষরিত হয়। ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড উক্ত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের জন্য গঙ্গাচড়া উপজেলায় প্রায় ৩০০ একর জমি খরিদ করে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত উক্ত সমুদয় জমি তিস্তার ভাঙ্গনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
পরবর্তীতে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড ২০১৮ সালে প্রকল্পের স্থান পরিবর্তনের জন্য সরকারের নিকট আবেদন করলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সরেজমিনে পরির্দশন করে লালমনিরহাটে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার শৌলমারী গ্রামের প্রকল্পের বর্তমান স্থান অনুমোদন করেন। অতঃপর ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড প্রকল্প এলাকার জমি ব্যবহারের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স ও জমি ব্যবহার ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য অনাপত্তি গ্রহণপূর্বক জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় হতে অনুমোদন প্রাপ্ত হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে অনুমোদন প্রাপ্ত হবার পর স্থানীয় জমির মালিকগনের নিকট হতে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড সরাসরি জমি খরিদ ও বায়না করা শুরু করে। ইতোমধ্যে কতক জমি রেজিষ্ট্রি, কতক জমি বায়না চুক্তির মাধ্যমে (যাহা পর্যায়ক্রমে রেজিস্ট্রি চলমান রয়েছে) এবং কতক খাস জমি স্থানীয় দখলদারের কাছ থেকে বাজারমূল্য পরিশোধের মাধ্যমে দখলস্বত্ব বুঝে নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বন্ধোবস্তের আবদেন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে প্রকল্প এলাকার প্রায় সম্পূর্ণ জমি ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছে।
প্রকল্প এলাকায় কাজ করতে গিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড প্রকল্প এলাকায় জনসাধারনের জন্য বিদ্যুৎ লাইন নেয়া এবং কিছু বাড়িতে বিদ্যুৎ প্রদান করে। ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড প্রকল্প এলাকায় দূর্গম চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার অবহেলিত মানুষ কয়েক হাজার শিক্ষর্থীর চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ১.৭০ কিমি. একটি সড়ক নির্মান করে। উক্ত রাস্তা নির্মান করতে গিয়ে পনির প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য ২ টি ব্রীজ ও ১৮টি কালভার্ট করতে হয়। উক্ত কাজ করতে গিয়ে বিআইডবিøওটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র পর্যালোচনার কারনে উক্ত সময়ের মধ্যে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। উক্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে গত দুই মাস রাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মান কাজ বন্ধ রাখা হয়। অতঃপর ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহিত যোগাযোগ করে এবং যাহার কার্যক্রম এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই বর্ষায় চর এলাকার ভাঙ্গন রোধে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড বিভিন্ন স্থানে চার কিলোমিটার সাইড ওয়াল করে ভাঙ্গন রোধ করা হয়। ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড যথাযথ কর্তপক্ষের মাধ্যমে অনুমতি প্রাপ্ত হলে উক্ত রাস্তা, ব্র্রীজ ও কালভার্ট নির্মান করবে অন্যথায় নির্মান কাজ বন্ধ থাকবে বলে সম্মত হয়েছে। এ ব্যবপারে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সাহেব বলেন যে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড কালিগঞ্জ উপজেলার শৈইলমরি গ্রামে স্থাপন হচ্ছে তার অনুমোদনের কাগজপত্র ১৯/০৮/২০২১ ইং তারিখে আমাদের দপ্তরে প্রেরণ করেছেন, আমি তা দেখেছি। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর মহোদয় বলেন ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড ৩০ মেগওয়াট বিদ্যুৎ স্থাপনের কাজ কালিগঞ্জ উপজেলায় চলছে তার অনুমোদনের কাগজপত্র আমাদের দপ্তরে পাঠিয়েছেন । এব্যপারে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড এর পরিচালক (অপারেশন) মোঃ আব্দুল হালিমের কাছে জমিজমা ক্রয় সংক্রান্ত অনিয়মের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার সকল জমি বিক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী মূল্যে সরাসরি কোন মাধ্যম ছাড়া ক্রয় করি। যাহা একটি বিডিও ক্যামেরার সম্মূখে সকলের অনুমতি সাপেক্ষে স্বাক্ষর হয়। সেখানে বিশেষ করে জমি দাতার নাম, জমির বিবরণ, জমির মূল্য উচ্চ স্বরে ঘোষনা পূর্বক জমি দাতার স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এ সকল বিডিও ক্লিপ আমাদের নিকট সংরক্ষিত আছে সামান্ন কিছু দুস্কৃতকারী যাহারা বিভিন্ন গনমাধ্যেমে মিথ্যা অভিযোগ করেছে তাদের অভিযোগের ভিত্তি আছে বলে আমি মনে করি না। প্রকৃত অর্থে ঐ সকল অভিযোগকারীদের ওখানে কোন জমি নেই।