আছানুল হক, কুষ্টিয়া দৌলতপুর : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের পূর্বফিলিপনগর গ্রামের বৈরাগিরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে মরিচ ইউনিয়নের রিফুজিপাড়া গ্রামের আমির বিশ্বাসের ছেলে চার সন্তানের পিতা মাসুদ হোসেনের অবৈধ সম্পর্কের ফলে ৬মাসের অন্তসত্বা স্কুল ছাত্রী।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা স্কুল ছাত্রীর পরিবারের লোকজন কে চাপ দিয়ে স্থানীয় ডাক্তার বুলবুলের মাধ্যমে ঔষধ খাওয়ায়ে স্কুল ছাত্রীর গর্ভপাত ঘটিয়ে মাটিতে পুতে রাখার সময় এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী জানান, মাসুদকে পুলিশে আটক করতে আসলে মাসুদ আমাদের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। রাতে ঘুমিয়ে গেলে আমার বিছনাতে এসে মাছুদ আমাকে ধর্ষন করে। পরে আমি গর্ভবতী হয়ে পড়লে মাসুদ আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে পরিক্ষা করে। ডাক্তার আমার পেটে বাচ্চা আছে বললে মাসুদ আমাদের চাপ দেয় বাচ্চা নষ্ট করে ফেলার জন্য। পরে বৈরাগিরচর বাজারের ডাক্তার বুলবুলের কাছ থেকে ঔষধ নিয়ে মাসুদ গর্ভপাত করায় বলে তারা জানান। তবে তারা এই ঘটনার বিচার চাই। স্কুল ছাত্রীর মা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এবিষয়ে মাসুদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করালে মাসুদ জানান, মেয়ের বাবা বাহিরে থাকার কারনে আমাকে বললে আমি ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। অন্য কোন কারন নাই।
এ বিষয়ে গ্রাম্য চিকিৎসক বুলবুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার কাছ থেকে মাসুদ গর্ভপাত করানোর জন্য ঔষধ নিয়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান গর্ভপাতের ঘটনাটি সত্য, এ বিষয়ে একজন আটক হয়েছে।