1. riajul.kst1@gmail.com : riajul :
  2. riajul.kst@gmail.com : riajul.kst@gmail.com :
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০২:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

কুষ্টিয়ায় শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে আমৃত্যু-০২, যাবজ্জীবন-০১

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২১
  • ৩০০ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

আমিন হাসান, কুষ্টিয়া : : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ২০১৪ সালে পাওনা টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে আজম (২৩) নামে এক যুবকে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হয়ায় এঘটনায় স্বপন ইশারত নামে দুই আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও আসকর আলী নামে অভিযুক্ত একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের আড়িয়া গ্রামের মন্ডলপাড়ার মৃত কাইমুদ্দিনের ছেলে স্বপন (৩৫) এবং একই এলাকার মৃত পলান মিস্ত্রির ছেলে ইশারাত মন্ডল (৪৫)। তারা দুজনই পলাতক রয়েছে।
এ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আসকর আলী (৪২) একই এলাকার মৃত পলান মিস্ত্রির ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে পাওনা টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে মারপিট ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে আসামিরা। হত্যাকাণ্ডের পর দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামের মাঠের একটি ধান খেতে আজমের লাশ মাটির নিচে পুতে রাখে। পর দিন ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে দৌলতপুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
৬ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা ও আড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এজের আলী বাদী হয়ে স্বপন, ইশারাত মন্ডল ও আসকর আলীসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আকিদুল ইসলাম দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২১ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আসকর আলীকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে অপর দুই আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
এদিকে আজমের স্বজনরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তার স্বজনরা বলেন, আজমকে এলোপাতাড়ি মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসামিরা। ছয় বছর আদালতে মামলার কার্যক্রম শেষে দুই আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে আমরা খুবই খুশি।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামিকে আমৃত কারাদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....

All rights reserved © 2020 tajasangbad.com
Design & Developed BY Anamul Rasel
x