এস,আর শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটে ১ শত টাকা ব্যাংক ড্রাফটে সোনার হরিণ(ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে) পেল ২২ জন ছেলে ও ৪ জন মেয়ে। সরকারি চাকরি সোনার হরিণ।আমাদের সমাজে সরকারি চাকুরিকে সোনার হরিণের সাথে তুলনা করা হয়।চাকরি প্রার্থীরা লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে সরকারি চাকরির আশায় বসে থাকে।দালালদের দৌরাত্ম্যে দিশেহারা অসহায় মানুষ। এই প্রচলিত ধারনাকে পাল্টে দিল বাংলাদেশ পুলিশ। সারাদেশের ন্যায় লালমনিরহাট জেলাতেও পুলিশের “ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে” ৭ টি ধাপের পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার(৪নভেম্বর) রাত ১০ টায় পুলিশ লাইনে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা (বিপিএম, পিপিএম) “ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে” পরিক্ষার ফলাফল ঘোষনা করেন ও নবনির্বাচিত ২৬ জন “ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলকে” ফুল দিয়ে বরণ করেন।
অপেক্ষমাণ তালিকায় ৫ জনকে রাখা হয়েছে।নির্বাচিত সদস্যদের মেডিকেল রিপোর্টে যদি কেও বাদ পরে তাহলে সেই তালিকা থেকে বেশি মার্ক পাওয়াদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেওয়া হবে। প্রথম দিন ২৫ অক্টোবর ১ শত টাকা ব্যাংক ড্রাফট করে লালমনিরহাট পুলিশ লাইনে ৮ শত ৪ চন “ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে” অংশ গ্রহন করে।বিভিন্ন ধাপ শেষ করে ৩ শত ৬০ জন লিখিত পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১ শত ৯ জন পাশ করে। ১শত ৯ জন ভাইবা পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২৬ জনকে চুরান্ত ভাবে এবং ৫ জনকে অপেক্ষমান তালিকায় রেখে ফল প্রকাশ করা হয়।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা(বিপিএম,পিপিএম) বলেন, ২৬ জনের মধ্যে ৪ জন মেয়ে তাদের একজন মুক্তিযোদ্ধা কোটায়।২২ জন ছেলের মধ্যে ১৩ জন সাধারন কোটায়,৭ জন মুক্তযোদ্ধা কোটায় ও ২ জন পুলিশ পোষ্য কোটায় চুরান্ত করা হয়েছে। আমার চাকরি জীবনে ১ শত টাকায় পুলিশে চাকরি এই কার্ক্রমে অংশগ্রহন করতে পেরে ধন্য হয়েছি।যে সকল সহকর্মী দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
লালমনিরহাট এয়ারপোর্ট এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে আলামিন আকাশ বলেন,আমি কল্পনাও করতে পারিনি আমার ১ শত টাকায় পুলিশে চাকরি হবে।আমার ধারনা ছিল যদি আমি পরিক্ষাতে পাশও করি তাহলে আমার কমপক্ষে ১২ লাক টাকা ঘুষ দিতে হবে।কিন্তু আমার ধারনাকে ভুল প্রমান করে দিল লালমনিরহাট জেলা পুলিশ, কোন ঘুষ ছারাই পুলিশে “ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে” পাশ করলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নিয়োগ পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) রংপুর সিফাত ই রব্বান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুড়িগ্রাম সার্কেল) উৎপল কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এ-সার্কেল) মারুফা জামাল,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) আতিকুল ইসলাম, সদর থানার ওসি শাহা আলম ও জেলার উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।