অন্তর, কুষ্টিয়া :
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার সকালে ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে শাহাজামাল (৫৫) নামে একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা।
অভিযুক্ত হলেন ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের কৈগাড়ীপাড়া গ্রামের মো. বাহাদুর মাঝির ছেলে শাহাজামাল। অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকে সে পলাতক আছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে বাড়ির পাশে নদীর ধারে ওই প্রতিবন্ধী তরুণী বেড়াতে যান। এ সময় অভিযুক্ত শাহাজামাল তাঁকে খেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর পাশের খেতে কাজ করা কৃষক ভুক্তভোগীর চিৎকারে ছুটে আসেন। তাঁরা শাহাজামালকে ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, ‘শাহাজামাল মেয়েটিকে আখ ভেঙে খেতে দেয়। কিছুক্ষণ পর ভেতরে শব্দ শুনে গিয়ে দেখি সে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছে। আমরা ধরতে গেলে সে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।’
ওই গ্রামের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থী বলেন, শাহাজামাল চার সন্তানের জনক ও বৃদ্ধ একজন মানুষ। তারপর সে একটি মসজিদের খাদেমের কাজ করে ও মাঝে মধ্যে মোয়াজ্জেমের দায়িত্ব পালন করে। এই জন্য মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়ার সময় কেউই তাঁর প্রতি এ ধরনের সন্দেহ করেনি।
এ বিষয়ে মসজিদটির ইমাম মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনাটি এখন জানলাম। তবে শাহাজামাল মোয়াজ্জেমের দায়িত্বে নেই। মাঝে মধ্যে আজান দেওয়ার কাজটি করে।
এ ব্যাপারে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির মা মামলা করেছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।