আরাফাত হোসেন, কুষ্টিয়া : নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য যে আইন থাকার দরকার ছিল সে আইন টা করা হয়নি। ইতিপূর্বে যারা ক্ষমতায় ছিল তারাও কেউ করেনি। তবে আমাদের সরকার উদ্যেগ নিয়েছি আশা করছেন খুব শঘ্রীই এ নির্বাচন কমিশনার একটি আইন করা হবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে গনতান্ত্রিক পদ্ধতি আওয়ামীলীগ সরকার করে আসছে। সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বৈঠক করে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে তাদের মতামত ভিত্তি করে সার্চ কমিটি গঠন করে সেই সার্চ কমিটি দ্বারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দেওয়া বা প্রস্তাবিত নামের মধ্যে থেকে যাচাই বাচাই করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। এ নির্বাচন গঠন হওয়ার পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন গঠনের লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সকল দল তাদের অভিমত ব্যক্ত করবেন। বিএনপি তাদের কথা তাদের অভিমত তাদের মতামত রাষ্ট্রপতির কাছে যেয়ে ব্যক্ত করতে পারেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবী প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন প্রণালীর জন্য যে আইনটা থাকা দরকার সেই আইনটা করা হয়নি এখনো, ইতি পূর্বে অতিতে যারা ছিল তারাও কেউ করেনি। আমাদের সরকারের সময় আমরা উদ্দ্যোগ নিয়েছি। আমরা আসা করছি খুব দ্রæতই নির্বাচন কমিশন আইন করা হবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি আওয়ামীলীগ সরকার অনুসরন করে আসছে দাবী করে হানিফ আরো বলেন বিএনপির পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ সরকারের দাবীটা যৌক্তিক না, কারন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে বহুবার বলেছিল দেশে পাগল ও শিশু ছাড়া কোন নিরপেক্ষ ব্যাক্তি নেই। হানিফ আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামী দন্ড মওকুফ না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। মহামন্য রাষ্টপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরে উনি যদি ক্ষমা করেন তবেই বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে পারবেন। বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন দাবী প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম হঠাৎ করে আবিস্কার করেছেনে বেগম খালেদা জিয়া নাকি দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। এটাতো মির্জা ফখরুল সাহেবদের লজ্জা হওয়া উচিৎ। অনেক ইতিহাস আছে ৭১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার যে কাহিনিগুলো আছে সেটা এই প্রজন্মের মানুষরা জানেনা। সেগুলোকে খুচিয়ে জনগনের সামনে তুলে ধরার জন্যই কি মির্জা ফখরুল এসব কথা বলছেন। বেগম খালেদা জিয়া একজন অসুস্থ্য মানুষ তার এই শারিরিক অসুস্থতার সময় এমন কোন কথা বলা উচিৎ না যেটা নিয়ে তার সম্মান হানি কর। কিন্তু যদি এই ধরনের নির্লজ্জ মিথাচার করে ইতিহাসকে বিক্রিত করে বেগম খালেদা জিয়াকে এখন জোর করে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে তো ইতিহাসের এই কথাগুলো অটোমেটিক চলে আসবে।
আজ রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের নিজ বাসায় সমসাময়িক রাজনৈতিক পেক্ষপট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান আতাউর রহমান আতাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।