কুমারখালী(কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া কুমারখালীতে জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামী খোকন মন্ডলের উপর বাদী পক্ষের হামলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাথা ও বামহাতের কবজ্বির প্রায় ৯০ ভাগ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের পূর্বপপাড়ায় এঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তি ওই গ্রামের নয়ন মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য।
এবিষয়ে আহত খোকন মন্ডলের ভাই পাপ্প মন্ডল বলেন, তার ভাই খোকন সকালে মাঠ থেকে কাজ শেষে ফেরার সময় আরিফ ও শাকিলসহ বেশ কয়েকজন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে । হামলায় তার ভাইয়ের কবজ্বির প্রায় ৯০ ভাগ কেটে বিচ্ছেদ হয়ে যায় এবং মাথায় গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি আরো বলেন, ‘ জোড়া খুনের বদলা নিতেই প্রতিপক্ষরা এমন হামলা করেছে।
এবিষয়ে জোড়া খুন মামলার বাদী নুরুল ইসলাম বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি খোকন মন্ডল আমার ঘরের বেড়ায় আঘাত করছে। এসময় আমার ভাই এবং চাচাতো ভাইদের সাথে তার হাতাহাতি হয়। কিভাবে খোকন মন্ডলের মাথা ও হাত কেটেছে জানিনা।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এবং জোড়া খুনের ক্ষোভে এ ঘটনা ঘটতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । এ বিষয়ে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ‘
উল্লেখ্য , ২০২০ সালের ৩১ শে মার্চ স্থানীয় গ্রাম প্রধানদের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুইগ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে পাহাড়পুর গ্রামের মৃত চাঁদ আলীর দুই ছেলে নেহেদ আলী (৬৫) ও বকুল আলী (৫৫) নামের আপন দুই ভাই খুন হয়। ঘটনার পরদিন নিহত নেহেদ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ০১, তাং-০১/০৪/২০২০ । সেই মামলায় খোকন মন্ডলকে প্রধান আমামী করা হয়েছিল।