অনলাইন ডেস্ক : লক্ষ্য ছিল ৩৮৮ রানের। তাই শেষ দিন ড্রয়ের জন্যই মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। তাদের স্বস্তি হয়ে নামল বৃষ্টি। তবে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা শেষ সেশনে যে তাণ্ডব চালালেন, তাতে শ্বাসরুদ্ধকর জয় উঁকি দিচ্ছিল স্বাগতিকদের। তবে শেষ দুই জুটিতে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তাদের জিততে দেয়নি ইংল্যান্ড। ইতোমধ্যে তিন টেস্ট হেরে সিডনিতে চতুর্থ ম্যাচটিতে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইংলিশরা।
আজ রবিবার (৯ জানুয়ারি) পঞ্চম দিন বিনা উইকেটে ৩০ রানে দিন শুরু করে ইংল্যান্ড। একশ করার আগেই তিন উইকেট হারায় তারা। হাসিব হামিদ (৯), ডেভিড মালান (৪) ফেরার পর ৭৭ রানে জ্যাক ক্রলিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ক্যামেরন গ্রিন। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি ইংলিশ ওপেনার। ৩ উইকেটে ১২২ রান করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় সেশনে ছিল বৃষ্টির উৎপাত। যে ২১ ওভার খেলা হয়েছে, তাতে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ৬০ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন জো রুট (২৪)। ওই সেশনে স্কট বোল্যান্ডের কাছে ইংল্যান্ড হারায় রুটের একমাত্র উইকেট। এরপর ৪ উইকেটে ১৭৪ রানে চা বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।
শেষ সেশনে এলোমেলো হয়ে পড়ে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইন। প্রথমে নাথান লিয়নের শিকার হন বেন স্টোকস (৬০)। এরপর একই ওভারে জস বাটলার (১১) ও মার্ক উডকে (০) ফিরিয়ে আঘাত হানেন প্যাট কামিন্স।
জয়ের জন্য আর ৩ উইকেট দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু বেয়ারস্টোর সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন জ্যাক লিচ। ছয় ওভারের বেশি একসঙ্গে উইকেটে কাটান দুজনে। এই জুটি ভেঙে দেন বোল্যান্ড। ১০৫ বলে ৪১ রান করে মার্নাস লাবুশেনের ক্যাচ হন বেয়ারস্টো।
ম্যাচ বাঁচানোর গুরু দায়িত্ব পড়ে লিচ ও ব্রডের কাঁধে। তাদের চোয়ালবদ্ধ জুটিতে ড্রয়ের দিকে এগোতে থাকে ম্যাচ। কিন্তু ৮.৪ ওভারের এই জুটি ভেঙে যায় ৩৩ রানে, স্টিভ স্মিথের বলে ফেরেন লিচ (২৬)। ৫-০ তে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের আশা বাঁচিয়ে রাখতে দিনের শেষ দুই ওভারে ১ উইকেট দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু জেমস অ্যান্ডারসনকে নিয়ে ম্যাচ বাঁচান ব্রড। কোনো রান নেননি তারা, শুধু বল সামাল দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজটা সাফল্যের সঙ্গে করেছেন। শেষমেষ ৯ উইকেটে ২৭০ রান করে সফরকারীরা।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বোল্যান্ড সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি করে পান কামিন্স ও লিয়ন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া: ৪১৬/৮ ডিক্লে. ও ২৬৫/৬ ডিক্লে.
ইংল্যান্ড: ২৯৪ ও ২৭০/৯
ফল: ম্যাচ ড্র।