আরাফাত হোসেন, কুষ্টিয়া : ২৬দিন আগে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় সুমাইয়া। সুমাইয়া খুঁজে পেয়েছিল নতুন এক পরিবার। পেয়েছিল নতুন মা-বাবা, ভেবে ছিলো নতুন সংসারে গুছিয়ে নিবে সবকিছু। দুর্ভাগ্য ভাবনাগুলো তার ভাবনা হয়ে থাকল, হাতের মেহেদির রং মোছার আগেই লাশ হতে হলো নববধূ সুমাইয়াকে।
বৈদ্যুতিক শটে সুমাইয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তবে সুমাইয়া বাবার দাবি যৌতুকের কারণে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তার মেয়েকে।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার মেটন গ্রামে।
আজ (মঙ্গলবার) সকালের দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা দিয়ে বিকালের দিকে মারা যায় সুমাইয়া। কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেন।
জেলার মিরপুর উপজেলা হরলা মেটন গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাকিবুল ইসলামের সাথে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ সালে বিয়ে দেয়।
বিয়ের আগে যৌতুকের দাবীতে বিয়ের দুই তিন পরে জানায় টাকার খুব দরকার। ব্যবসা করার জন্য টাকার জন্য সুমাইয়াকে চাপ দেয়। সুমাইয়া বাবার কাছে টাকাও চায়, কিন্তু সুমাইয়ার বাবা গরিব হওয়ায় ব্যবসার সম্পূর্ণ টাকা দিতে অপরাগত প্রকাশ করে। এ নিয়ে সুমাইয়ার স্বামী তার ওপর নির্যাতন চালায়।
বেশ কয়েক ধরে যৌতুকের টাকার জন্য বকাবকি করে সুমাইয়ার বাবার বাড়ীতে পাঠায়। চারদিন বাবার বাড়িতে থেকে কিছু টাকা নিয়ে স্বামীর বাড়িতে আসে। স্বামীর বাড়িতে আসার পর সম্পন্ন টাকা না দেওয়ার কারণে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন তাকে গালমন্দ ও মারধর করে।
সুমাইয়া পরিবারের লোকজন জানান, সুমাইয়ার পরিবারের দাবী যৌতুকের এক লক্ষ টাকা না পেয়ে মঙ্গলবার সকালে সুমাইয়ার স্বামী সাকিবুল পরিকল্পিত ভাবে সুমাইয়ার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় । স্থানীয়দের সহযোগীতায় আগুনে দগ্ধ গৃহবধু সুমাইয়া কে মামা জালাল আলী কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
তবে এ বিষয়ে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা পলাতক আছে।
সুমাইয়ার মামা বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
সুমাইয়ার বাবা বলেন, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।