অনলাইন ডেস্ক : দেশের ১৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) সপ্তম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ২০ জেলার ২৪টি উপজেলার এসব ইউপিতে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এই ধাপের ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ হাজার ৮৭৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫৭৬ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রার্থী এক হাজার ২৩৬ জন। এ ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে চার হাজার ৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোট ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ৩৫০টি, ভোটকক্ষ সাত হাজার ৮৫টি। ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৮২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৬ জন, নারী ১১ লাখ ৯৪ হাজার ২২৯ জন। এ ছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন তিনজন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান বলেন, ১৩৮টি ইউপির মধ্যে মাত্র ৯টিতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হবে। বাকিগুলোতে ভোটগ্রহণ করা হবে ব্যালটের মাধ্যমে। সপ্তম ধাপের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ১১ জন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি মোবাইল টিম এবং একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।
এ ছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় র্যাবের মোবাইল টিম দুটি ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। আর প্রতিটি উপজেলা বিজিবির মোবাইল টিম দুটি ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রতিটি উপকূলীয় উপজেলায় কোস্টগার্ডের মোবাইল টিম দুটি (২ প্লাটুন), স্ট্রাইকিং ফোর্স একটি (এক প্লাটুন) থাকবে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে চলমান ইউপি নির্বাচনের ছয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের দুই দফায় ৩৬৯টি এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে এক হাজার ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ৮৩৬ ইউপিতে ভোট হয়েছে। ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়। এরপর ষষ্ঠ ধাপে ২১৬ ইউপিতে ৩১ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হয়।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি অষ্টম ও শেষ ধাপে আটটি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।