অনলাইন ডেস্ক : গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে নেই আগের মতো দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। পার্কের বাইরে প্রধান ফটকেও নীরবতার ছাপ। এক সময়কার কোলাহল ও হইচই শব্দে মুখরিত পার্কের আশপাশের এলাকা এখন পরিণত হয়েছে অনেকটাই নিস্তব্ধ জনপদে।
ভেতরে পাখির কলরব, পানিতে জলহস্তী আর কুমিরের বসবাস, অজগরের নীরব নড়াচড়া ও জলাশয়ে ইন্দোনেশিয়ান লাল প্রজাতির মাছের সাঁতার কাটার দৃশ্য দেখতে উপভোগ্য। নীলগাই, বেঁচে থাকা একটিমাত্র বাঘ ও বিশটি জেব্রার অবাধ বিচরণ আকর্ষণ করবে দর্শনার্থীদের। মনোরম পরিবেশে ফুলে ভরা খোলা স্থানে স্বস্তিতে বসে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ তো আছেই।
সাফারী পার্কের টানে দূর জনপদ থেকে এখানে বেড়াতে এসে যে কেউ মিশে যেতে পারে আনন্দের রাজ্যে। তবুও এখন নেই তেমন দর্শনার্থী। গানে গানে উচ্ছ্বসিত পিকনিক পার্টির ধুমধামও হারিয়ে গেছে।
নানা প্রজাতির প্রজাপতি, ময়ূর, ঘুঘু, শালিক ও টিয়েসহ নানান পাখির ছুটে চলা দেখে শিশুদের মনটা আনন্দে উঠবে ভরে। তবুও ভিড় নেই। এ সময় পার্কে হাতেগোনা অল্প কিছু দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে।
প্রধান ফটকে ঢুকতেই কর্মচারী সালাম মিয়া জানান, ‘সাফারী পার্কে গত একমাসে জেব্রা, সিংহীসহ শিয়ালের মৃত্যুর ঘটনা আমাদের ব্যথিত করেছে। দর্শনার্থীদের সংখ্যাও দিনকে দিন কমে যাচ্ছে।’
মালি বছির মিয়া জানান, ‘পার্কে মানুষজন না আইলে আমগোও ভালো লাগে না।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের দর্শনার্থীদের জন্য নানা পণ্যের পসরাও চোখে পড়েনি সংলগ্ন এলাকায়। তবে জামালপুর থেকে আসা এক দর্শনার্থী মোবারক হোসেন জানান, ‘করোনার কারণেই দর্শক কমে গেছে। তবে একদিন আগের মতোই দর্শনার্থীর আগমনে জমে উঠবে এই পার্ক।’