আরাফাত হোসেন, কুষ্টিয়া।
খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করতে গিয়ে গৃহবধুকে জীবিত পেলেন পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধুর নাম শারমিন আক্তার বলে নিশ্চিত করেছেন বাড়ির মালিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গতকাল সকালে গৃহবুধর শ্বাশুড়ীকে তার ভাড়া বাসা থেকে বিদায় দেওয়ার পর তার স্বামী তার মাকে নিয়ে পাবনা এলাকায় পৌছানোর জন্য বেরিয়ে পড়ে। দুপুর দুইটার পর গৃহবধু খাওয়া দাওয়া শেষে কৃটনাষক ওষুধ খেয়ে অচেতন অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। বিকেলের দিকে স্থানীয়রা গৃহবধুকে ডাক চিৎকার দিলে কোন সারা শব্দ না পেয়ে ৯৯৯ লাইনের মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে সন্ধার সময় পুলিশ এসে ডাক চিৎকার দিলেও কোন শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ভিতর প্রবেশ করে। পরে দরজা খুলে দেখতে পায় অচেতন অবস্থায় গৃহবধু ঘুমিয়ে আছে। পুলিশের সহায়তায় গৃহবধুর গায়ে পানি ছিটিয়ে ঘুম ভাঙান এবং দ্রুতভাবে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গৃহবধুকে দেখার জন্য ভিড় জমায় আশে পাশের বহু এলাকাবাসীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এলাকাবাসী বলেন এ বাড়ীতে এর আগেও দুইজন আত্মহত্যা করেছেন। তিনি আরও বলেন এ বাড়ীটির আগে এখানে কবরস্থান ছিল। করবস্থানটি বন্ধ করে বাড়ী নির্মাণ করেন এ বাড়ীর মালিক।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন এলাকাবাসীরা পুলিশ খরব দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ লাশ উদ্ধারের জন্য লাশ টানা ব্যাগ নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আল্লার রহমতে গৃহবধু সুস্থ আছেন। তবে কি কারণে এ কৃটনাষক ওষুধ খেয়েছিলেন তা গৃহবধু সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে বলে তিনি জানান।