কুমারখালী প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গলায় জোড়া ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আফরোজা খাতুন ওরফে পায়রা (৫০) নামের এক মহিলার লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। রবিবার সকালে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ডাঁসা গ্রাম থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের মেয়ে এবং স্বামী পরিত্যক্ত ছিলেন।
তবে নিহতের স্বজনদের দাবি, পায়রার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। কে বা কারা গলায় জোড়া ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাঃসরোধ করে তাকে হত্যা করেছে।’
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আফরোজা খাতুন পায়রা প্রায় ৩০ বছর ধরে বাপের বাড়িতে বাস করছেন। তিন বোন ও এক ভায়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দুরে পুকুরপাড়ে ওপর হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কৃষক আক্তারুজ্জামান লিটন। পরে লিটন নিহতের ভাই মোহনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভাইসহ প্রতিবেশীরা তার লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এসময় নিহতের গলায় জোড়া ওড়না পেচানো ছিল।
নিহতের ভাই মোহন বলেন, সকালে খবর পেয়ে বোনের লাশ নিয়ে বাড়ি এসেছি। কিভাবে মারা গেছে জানিনা। তার মৃতু রহস্যজনক।
নিহতের চাচাতো ভাই রাকিবুল বলেন, রাতে ঘরে শুয়ে ছিল। সকালে পুকুরপাড়ে গলায় দুইটি ওড়না পেচানো লাশ পাওয়া গেল। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বৃদ্ধ মহিলার গলায় জোড়া ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তার মৃত্যু রহস্যজনক। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে ।