অন্তর, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার লালন আখড়াবাড়িতে পূর্ণসেবার মধ্য দিয়ে শেষ হলো সাধু সঙ্গের সব আনুষ্ঠানিকতা। ভবের হাট ছেড়েছেন সাধু ভক্তরা। এর আগে রাতেই লালন উৎসব শেষ হয়। ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ আধ্যাত্মিক এই বানীকে সামনে নিয়ে দৌলপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আখড়াবাড়ীতে তিন দিনের লালন স্মরণোৎসবে যোগ দিয়েছিলেন দেশ বিদেশ থেকে আসা সাধু ভক্তরা। প্রায় ২শ বছর ধরে হয়ে আসছে এই উৎসব। ফকির লালন সাঁই তার জীবদ্দশায় ভক্তদের খাটি করে গড়ে তুলতে প্রতি বছর চৈত্রের দৌলপূর্নিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধু সঙ্গ উৎসব করতেন। তার দেহত্যাগের পর একই রীতিতে তার অনুসারীরা পরে লালন একাডেমি এ উৎসব চালিয়ে আসছে। এবার গত ১৫ মার্চ শুরু হয় তিন দিনের লালন উৎসব। গেল রাতে আলোচনা সভায় এর সমাপ্তি ঘোষনা করেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপি।
কিন্তু লালন ফকিরের রীতি অনুযায়ী আজ দুপুরে ছিল পূর্ণসেবা। সেই পূর্ণসেবা গ্রহন করে সাধু ভক্তরা সাইঁজীর ধাম ছেড়েছেন। যাবার সময় ভারাক্রান্ত মনে একে অপরের কাছ থেকে বিদায় নেন। পরের সাধু সঙ্গে মিলিত হতে না পারার শংকা থাকলেও এই উৎসব থেকে অর্জিত লালন শিক্ষা ছড়িয়ে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও হিংসা রাগ ভূলে দেশে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবেন বলে জানান।