কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় পৌর গোরস্থান দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ্ বোডিং এর এক হাফেজ ছাত্রকে পাগড়ি ও সনদ দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানটি পবিত্র লাইলাতুল বরাতের মোবারক রজনীতে কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় গোরস্থান জামে মসজিদে প্রায় ১ হাজার মুসুল্লিকে সাথে নিয়ে জাঁকজমক ভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র জানায়, ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু এলাকার মোঃ জিয়াউর রহমানের ছেলে মোঃ জিহাদ হুসাইন কুরআনুল কারীম প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মুখস্থ করায় তাকে সম্মান জানানো হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় গোরস্থান দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিং এর সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ- সভাপতি মোঃ মোমেছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহসানুল হক হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার সহকারী মুহতিমাম মুফতি মোঃ হাবিবুর রহমান, কিতাব খানার শিক্ষক মুফতি মোঃ আবু আফ্ফান, কারী মোঃ হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় গোরস্থান দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিং এর মুহতিমাম মুফতি হবীবুল্লাহ ফারুকী।
উল্লেখ্য, সুব্যবস্থাপনা এবং আন্তরিকতার সাথে শিক্ষা প্রদানের গুনে কুষ্টিয়া শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত কেন্দ্রীয় পৌর গোরস্থান হাফিজিয়া মাদ্রাসা খুব অল্প সময়ে স্থানীয় নানা মহলে সুপরিচিত ও সুনাম অর্জনে সক্ষম হয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এতিম ছাত্রদের বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া ও লেখা পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করাসহ মেধাবী দরিদ্র ছাত্রদের নিকট থেকে সাশ্রয়ী শিক্ষা চার্জে যথাযথ মানের শিক্ষা প্রদানের অঙ্গীকার নিয়ে পথচলা শুরু হয়। মানবতার সেবায় প্রতিষ্ঠানটি
কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ সকল ছাত্রদের বিনামূল্যে লেখা-পড়া, উন্নতমানের খাবার পরিবেশন ও ইউনিফর্ম বিতরণ করে প্রতিষ্ঠানটি সকলের মন কেরেছে। এছাড়াও মেধাবী ছাত্রদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করে ছাত্রদের উৎসাহিত করাসহ নানাকর্মে প্রতিষ্ঠানটি প্রশংসশিত হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব মানবতার মহৎসেবা ও আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষে ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এ মাদ্রাসাটি। সরকারি সকল নীতিমালা অনুসরণে সুপরিসর শিক্ষা পরিবেশে পরিচালিত মাদ্রাসাটির ছাত্র ও অভিভাবকদের আস্থা ও সন্তুষ্টি লাভ করেছে। স্থানীয়দের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মাদ্রাসাটির স্থান।
অনুষ্ঠান শেষে মাদ্রাসার সকল ছাত্র, শিক্ষক, মুসুল্লি ও আমন্ত্রিত অতিথিরা দেশের কল্যাণ ও সকল কবর বাসীর শান্তি কামবায় আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করেন।