1. riajul.kst1@gmail.com : riajul :
  2. riajul.kst@gmail.com : riajul.kst@gmail.com :
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

বিয়ে করতে এসে ভারতে ফিরে গেলেন তরুণী

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০২২
  • ২৫৭ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : প্রেমঘটিত কারণে অবৈধ পথে বাংলাদেশে এসে বিজিবির হাতে আটক হন ভারতীয় তরুণী মনিরা খাতুন ওরফে আসমা বিশ্বাস (২০)। এ ঘটনায় তাকে তিনমাসের সাজা দেন বাংলাদেশের আদালত। সাজা শেষে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) তাকে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্যরেখায় সীমান্ত পিলার ৭৬ নম্বরের কাছে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে তাকে ভারতীয় পুলিশ ও স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মনিরা খাতুন ভারতের নদীয়া জেলার ধানতলা থানার চাঁদপুর গ্রামের আইয়ুব আলী বিশ্বাসের মেয়ে। বিজিবি ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাটিলা গ্রামের মহির উদ্দিনের মেহগনি বাগান থেকে ভারতীয় নাগরিক মনিরা খাতুন ওরফে আসমা বিশ্বাসকে আটক করেন ৫৮ বিজিবির সদস্যরা। আটকের পর অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের দায়ে তাকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করে বিজিবি। পরে ঝিনাইদহ শিশু আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) চাঁদ মোহাম্মদ আবদুল আলিম আল রাজ মনিরা খাতুনকে তিনমাসের কারাদ- দেন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে আদালত থেকে তিনি জামিন পান। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হলো। মনিরা খাতুন জানান, তিনি নদিয়া জেলার বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজের বিএ প্রথমবর্ষে পড়ালেখা করছিলেন। তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘পিজন মুন’ নামের একটি আউডি থেকে ময়মনসিংহের সরাফাত হোসেন নামের এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে বিয়ে করতেই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। মনিরা খাতুন বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন। পরে ১৬ হাজার টাকার বিনিময়ে এক দালালের মাধ্যমে রাতের আঁধারে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। তিনি মেহগনি বাগানে অবস্থান করছিলেন প্রেমিকের জন্য। এসময় বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করেন। মনিরা খাতুন বলেন, ‘আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নিয়ে জীবনে চরম ভুল করেছি। আমার মতো এ ভুল যেন আর কোনো মেয়ে না করে। যাকে ভালোবেসে এদেশে এসেছিলাম তিনি জেলে থাকাকালীন কোনোদিন খোঁজও নেননি।’ মনিরা খাতুনের মামা মো. আরজ ধাবক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ভাগনি মনিরা খাতুনের জন্য আমরা সবাই খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আজ তাকে কাছে পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। মনে হচ্ছে আমরা আজ স্বর্গ হাতে পেলাম।’ মনিরা খাতুনকে হস্তান্তরের সময় পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলিম, দর্শনা থানার এসআই নীতিশ বিশ্বাস, বিজিবির নায়েব সুবেদার মো. আলাউদ্দীন, ওয়েব ফাউন্ডেশন মানবাধিকার কর্মী মো. আতিয়ার রহমান। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গেদে ইমিগ্রেশন অফিসার ইন্সপেক্টর সন্দীপ তিওয়ারি, বিএসএফের গেদে কোম্পানি কমান্ডার সুনীল পায়েল, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বাবিন মুখার্জি এবং মানবাধিকার সংস্থার চিত্ত রঞ্জন দে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....

All rights reserved © 2020 tajasangbad.com
Design & Developed BY Anamul Rasel
x