গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে এফিডেভিট মূলে এই বিচ্ছেদ হয়। শনিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মমতা রানীর ভাই পলাশ চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষিদ্বর এলাকায় জামিনী চন্দ্র বর্মনের ছেলে রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি তার বাড়িতে ইতি রানী (২০) ও মমতা রানীকে (১৮) পাশাপাশি বসিয়ে ঘটা করে পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করে। বিয়ে শেষে এক সঙ্গে দুই প্রেমিকাকে ঘরে তোলেন রনি। বিয়ের এত অল্প দিনের মাথায় বিচ্ছেদ কেন এর কারণ তেমনভাবে জানা যায়নি। মুখ খোলেননি মমতা রানীও।
তবে মমতার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মমতা রানী ভাই পলাশ রায়। এ বিষয়ে একাধিকবার রোহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, রনির বাবা জামিনী চন্দ্র গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মমতা স্বেচ্ছায় আমার ছেলেকে তালাক দিয়েছে। এতে আমরা অমত করিনি। ’
উল্লেখ্য, বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়া পাড়া এলাকায়র গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানীর (২০) সঙ্গে রোহিনীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো দীর্ঘদিন। তারা একপর্যায়ে গোপনে মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেন। এর মধ্যে রনি নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন লক্ষীদ্বার গ্রামের মমতা রানীর (১৮) সঙ্গে।
এক পর্যায়ে গত ১২ এপ্রিল রাতে মমতার সঙ্গে রনি দেখা করতে যান। তখন মমতার পরিবারের লোকজন তাদের দেখে ফেললে রনিকে আটকে রাখেন। পরে ১৩ এপ্রিল বিয়ের ব্যবস্থা করে পরিবারের লোকজন। এদিকে রনির বিয়ের খবর শুনে তার বাড়িতে অনশন শুরু করেন ইতি রানী। পরে ২০ এপ্রিল রাতে রোহিনীর বাড়িতে পুনরায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুই বিয়ে একসঙ্গে সম্পন্ন হয়।