কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতের ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ৪ ধারার অপরাধে যার সূত্র নং-কুমারখালী ৮৩/২০২০ এর মামলার মুল আসামী রফিকুল ইসলামকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ। ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মামলার বাদী খালেদা খাতুন।
মামলা সূত্রে জানা যায় বাদী খালেদা খাতুন বিধবা মহিলা। বাদীকে ফুসলাইয়া গত ২০১৪ সালে মুসলিম পারিবারিক আইন মোতাবেক এক লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্যে সামাজিক প্রথা অনুযায়ী বিবাহ হয়। বাদী আসামী রফিকুলের সাথে সংসার করার সময়ে অভিযোগকারীর গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বাদীর পিতা মাতা তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জমি বিক্রি করে আসামী রফিকুলকে সিএনজি কেনার জন্য নগদ তিন লক্ষ টাকা প্রদান করেন। পুনরায় দুই লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য বাদীকে চাপ দেয়। পরে বাদী নিরুপায়ে হয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে যার সি আর নং ১৭৮/১৮। এ বিষয়ে মাননীয় আদালত বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ডাক সার্ভিসের মাধ্যমে গত ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর মাসে রফিকুল ইসলামের নামে নরসিংদী পুলিশ সুপার বরাবর একটি ওয়ারেন্ট জারী করে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী খালেদা বলেন সে একজন অসহায় মহিলা হইতেছে। তার দেখাশুনা করার মত কেউ নেই। তিনি সবসময় অসুস্থ হয়ে বাড়িতে পড়ে থাকেন। তাই তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এ প্রতারকে যত দ্রুত সম্ভব তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি ব্যবস্থার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন। বর্তমানে তার স্বামী নরসিংদী জেলার রাঙ্গামাটিয়া ২নং পানি ট্রাকের পাশে হালিম মিয়ার বাড়ীতে অবস্থান করছে বলে বাদী জানায়।