1. riajul.kst1@gmail.com : riajul :
  2. riajul.kst@gmail.com : riajul.kst@gmail.com :
সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

দৌলতপুরে বন্যায় ৩শ’ বিঘা জমি এখন প্লাবিত!

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৮৮ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

দৌলতপুর প্রতিনিধি :
সপ্তা’ খানেক হলো কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মায় দ্রুত বাড়ছে পানি। নদী টপকে প্লাবিতও হয়েছে নদী পাড়ের ৮টি গ্রাম। ভাঙন ও বন্যার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা পাড়ের ৪টি ইউনিয়নের মানুষ।
পানি বন্দী হয়ে পড়েছে চিলমারি ইউনিয়নের অন্তত ৮ গ্রামের মানুষ। কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে প্রতিদিন নদীতে গড়ে ১২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। গেল ৭ দিনে নদিতে পানি বেড়েছে অন্তত ৮২ সেন্টিমিটার। রোববার সকালের তথ্য মতে, নদীতে পানি প্রবাহ ছিলো ১৩ দমমিক ৮ মিটার যা বিপদ সীমার ১শ’১৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমা ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ২৫ মিটার। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ।ইতোমধ্যে পানিতে ডুবেছে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী, ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের পদ্মা চরের আবাদি জমি। এবার বন্যার আশঙ্কা না থাকায় অনেক চাষি জমি প্রস্তুত করেছিলেন বিভিন্ন মৌসুমি আবাদের জন্য যা এখন পানির নীচে তলিয়ে গেছে।উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে প্রায় ৩শ’ বিঘা জমি এখন প্লাবিত। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, পদ্মার চরে প্রায় ৩ শ’ বিঘা জমি এখন পানির নিচে তলিয় গেছে। যেখানে চাষিরা বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এদিকে চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান জানান, তার ইউনিয়নের অন্তত ৮ টি গ্রামের মানুষ এখন পানি বন্দী। এতে ৮ গ্রামের মানুষের সাথে চলাচলের রাস্তা পানির নীচে তলিয়ে গেছে তবে এখনও বসত ঘরে পানি প্রবেশ করেনি। তিনি আরও বলেন, নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে নতুন করে গ্রাম পানি বন্দী হয়ে বসত ঘরে পানি প্রবেশ করতে পারে। ফিলিপ নগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নইম উদ্দিন সেন্টু ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, তার ইউনিয়নের পদ্মার চরের সকল আবাদি জমি পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এতে চরের মাস কলায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পানি নদীর পাড় সমান সমান হয়ে আছে পানি এভাবে বৃদ্ধি হতে থাকলে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে মানুষ। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার এ প্রসঙ্গে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সবধরনের প্রস্তুতি আছে। কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দী এমন খবর শুনেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....

All rights reserved © 2020 tajasangbad.com
Design & Developed BY Anamul Rasel
x
error: Content is protected !!