স্টাফ রিপোর্টার :
কুষ্টিয়ায় গর্ভধারীনিকে মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় রাস্তায় মেয়ে সন্তান জন্ম দিলেন মা তাসলিমা খাতুন। গতকাল বিকেলে জিলা স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাস্তায় বাচ্চা জন্ম দেওয়া দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন পরিবারের স্বজনেরা। গর্ভধারানি মা বাসা বাড়ীতে বুয়া কাজ করে সংসার চালান এবং ছয় রাস্তা মোড়, পুরাতন বাধে এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকেন।
এ বিষয়ে পরিবারের স্বজেনরা বলেন গতকাল সকাল থেকে তাসলিমা খাতুনের ব্যাথা শুরু হয়। এ সময় তাদের কাছে আর্থিক সংকট থাকায় জি,কে স্কুলের সংলগ্ন সরকারী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গর্ভবর্তী মাতৃস্বজন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে দুপুরের দিকে ভর্তি করেন। তারা আরও বলেন তাসলিমা খাতুনের অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তারা দ্রুত বাচ্চা প্রসবের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলে দায়িত্বরত চিকিৎসকদেরকে জানান। তবে দায়িত্ব থাকা পরিদর্শক নিলুফা ইয়াসমিন ডাক্তার না হয়েও রোগীর স্বজনদেরকে বলেন বাচ্চা হতে অনেক দেরি আছে। রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে স্বজনরা বিকেলের দিকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে জিলা স্কুলের সামনে অটো রিক্সার ভিতর বাচ্চা ডেলিবারী হয়। এরপর মা ও বাচ্চাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে নারী কাটেন। বিনা চিকিৎসায় আর কোন মায়ের সন্তান যেন রাস্তায় না হয় বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
গর্ভধারী মা তাসলিমা খাতুন বলেন ভর্তি হওয়ার পর একবারেরও কোন চিকিৎসকের দেখা পাননি। কোন ডাক্তার না থাকায় একজন আয় বলেন আপনি এখান থেকে চলে যান। এ ডেলিভারীর কাজ করা হবে না বলে আয়া জানান।
এ বিষয়ে সরকারী মা ও শিশু হাসপাতালের দায়িত্ব থাকায় পরিদর্শক নিলুফা ইয়াসমিন বলেন এ হাসপাতালে সিজারের কোন ব্যবস্থা নেই, তার ডিউটি রাতে তবে দিনেও রোগী দেখেন তিনি। প্রতিদিন ডাক্তার না থাকলেও তিনি বাচ্চা ডেলিভারী করেন। ব্যাথা না হলে নরমার বাচ্চা হয় না বলে তিনি জানান। বর্তমানে এ হাসপাতালে অবসরের চলে গেছেন ডাক্তারা। এখন পর্যন্ত এ হাসপাতালে কোন নওয়াব আলী ডাক্তার ছাড়া আর কেই নেই, শুধুমাত্র তিনি রোগী দেখেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে মা ও শিশু হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার নওয়াব আলী বলেন পরিদর্শক হিসেবে তিনি রোগীদেরকে ডেলিবারী করাতে পারেন বলে তিনি জানান। রোগীকে জোর পূর্বক বের করার বিষয়ে অস্বীকার করে বলে তিনি জানান।