কুমারখালী প্রতিনিধি :
মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন রকম পুরস্কারের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হচ্ছে র্যাফেল ড্রর টিকিট। প্রতিটি টিকেট বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। লোভে পড়ে গ্রামের নিরীহ মানুষ কিনছেন এসব লটারি। মেলার আয়োজক ও র্যাফেল ড্র-সংশ্লিষ্ট এভাবে প্রতিদিন মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। বুধবার (০৪ জানুয়ারি) বিকেলে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার পান্টি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এদিকে, আয়োজক কমিটির এসব লোভনীয় প্রস্তাবে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। শিশু, বয়োজেষ্ঠ্য থেকে সব শ্রেণির মানুষ লোভে পড়ে কিনছেন এসব লটারি। এসব কারণে এলাকায় চুরি ও অন্যায়-অত্যাচার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
মেলার গিয়ে দেখা যায় র্যাফেল ড্রয়ের মঞ্চে সাজিয়ে রাখা হয়েছে টিভি, মোটরসাইকেলসহ নানা রকম পুরস্কার। মাইকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এই মঞ্চের সামনেই টেবিল-চেয়ার পেতে লটারি বিক্রি করছেন একাধিক লটারি বিক্রেতা। এখান থেকে লটারি কিনছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিশুসহ অনেকেই। এছাড়াও শতাধিক গাড়িতে ৩০০-৪০০টি করে টিকেট নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করছে লটারি। প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ লাখ টাকার লটারি টিকেট বিক্রি হচ্ছে। এতে সর্বশান্ত হচ্ছেন অনেকেই। এদিকে, শেখ রাসেল স্পোর্টিং ক্লাব বিজয় মেলার নামে লটারি জুয়া চলায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীর মাঝে। মেলার নামে লটারি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। এসব লটারি-বাণিজ্য বন্ধ না হলে যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, লটারি বিক্রির বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। বিষয়টি জেনে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।