হরিণাকুন্ডু প্রতিনিধিঃ শীতকাল প্রায় শেষের দিকে। এরই মধ্যে বসন্তের আবাস। গাছের ডালে হিমেল হাওয়ায় দুলছে শিমুল ফুল। বিদায় নিচ্ছে শীতকাল প্রকৃতির আপন ভূবনে বসন্তের আগমনে শিমুল ফুটেছে তার আপন মনে ফাগুনের আগুন রাঙারুপে সাজবে প্রকৃতি। ফুলে-ফুলে সুবাসিত ও সৌন্দর্য্য হবে চারদিক। মৌমাছিরা মধু আহরণে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। খোলা মাথার গাছগুলো হবে আগুনের লাল ফুলকী, যেন শিমুল ফুলের ঘরবাড়ি। পল্লবহীন বৃক্ষগুলো যেন বৈদুতিক লাল শিখা। থোকায় থোকায় ফূটে আছে লাল ফুল। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দেখা গেছে গাছে গাছে ফুটে আছে শিমুলের ফুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই ফুলের পাগল করা সৌন্দয্য। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ ও সৌন্দর্য্য। যে গন্ধ ও সৌন্দর্য্য মানুষের মনকে বিমোহিত করে তুলে। মধু সংগ্রহ করতে মৌমাছিরা ভিড় করছে শিমুল গাছের ডালে ডালে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে শিমুলের এই ফুলগুলো। গ্রাম অঞ্চলের আগানে বাগানেও বাঙ্গালীরা শিমুল চাষ করে থাকেন। এদিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিভিন্ন চাষ যেমন ধান,পান,গম, এবং মাছ চাষের পুকুর ও বাড়ির চার পাশজুড়ে দেখা যায় শিমুল গাছ। আর গাছের ডালে ডালে ফুটেছে শিমুল ফুল। তবে শিমুলের তুলার ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর শিমুলের তুলার বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছেন শিমুল তুলা প্রিয়রা। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো শিমুল গাছগুলো। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে শিমুলের ফুলে শুধু সৌন্দর্য্য ছড়াই না, শিমুলের তুলায় আমাদের আরামদায়ক বিছানায় শিমুলের তুলা অতুলনীয়।বাগানে বাড়ীর আশেপাশে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত যায়গায় শিমুল গাছের জন্য উত্তম। হরিণাকুন্ডু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান জানান, বর্তমানে শিমুলের গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। মূলত আবহাওয়ার কারণে দেশীয় জাতের গাছে এই আগাম শিমুলফুল আসা শুরু করেছে। এ সময় বিভিন্ন পোকামাকড় ও আবহাওয়ার কারণে শিমুল ফুলের ক্ষতি করে। এ পোকা দমনে বালইনাশক স্প্রে করলে তা আক্রমণ করতে পারে না। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে শিমুলের তুলা খুব ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।