স্টাফ রিপোর্টার :
মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি, এই ব্যাকুলতা নিয়ে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার ফকির লালন সাইয়ের আখড়াবাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে বাউল সাধু গুরু ও তার অনুসারীরা। কারণ আধ্যাতিক সাধক বাউল স¤্রাট ফকির লালন সাইয়ের লালন একাডেমি চত্বরে তিন ব্যাপী স্মরণোৎসব উপলক্ষে বাউল সাধক ফকির লালন সাঁইয়ের আখড়াবাড়িতে শুরু হওয়া সাধুসঙ্গ শেষ হয়েছে।
আজ দুপুরে সাঁইজির পুন্যধাম কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে পুণ্যসেবার মধ্য দিয়ে শেষ হয় সাধুসঙ্গ। গেল সন্ধ্যায় কালীনদীর পাড়ে লালন মঞ্চে মহাত্মা লালনের জীবনকর্ম নিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় এই আয়োজনের।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী প্রধান অতিথি থেকে ৩ দিন ব্যাপী এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এদিকে সাধুসঙ্গ শেষ হওয়ায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খেলাফতধারী সাধুরা ফিরতে শুরু করেছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।
শনিবার সকালে গুরুকার্য এবং বিকেলে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাধুসঙ্গের মুল আনুষ্ঠানিকতা। সন্ধ্যায় রাখাল সেবা আর মধ্যরাতে অধিবাস সেবা অনুষ্ঠিত হয়। আজ দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ভক্তদের পাতে সাদা ভাত, মশলাবিহীন তরকারী আর শুধু ভাজা ইলিশ মাছ দিয়ে পুন্যসেবার উদ্বোধন করেন। এরপর সবাই একসাথে পুণ্যসেবা নিয়েছেন আঁখড়াবাড়িতে আগত বাউল ভক্ত-অনুসারীরা।