স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ায় জুয়া খেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার এক বন্ধুর ছুরিকাঘাতে আরেক বন্ধু নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ডের কারণ এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ। নিহতের নাম তানজিল শেখ (২০)। তিনি পান্টি ইউনিয়নের ওয়াসী গ্রামের মো. মনিরুল শেখের ওরফে মনের ছেলে ও পান্টি ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কলেজ ছাত্র তানজিলসহ কয়েকজন বন্ধু কোচিং শেষে বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে গল্প করছিলেন। এ সময় অপর বন্ধু ইমন ওরফে ওবাইদা (২০) এসে তাঁদের সাথে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে তানজিলের সাথে ইমনের তর্কবিতর্ক হয়। এরই মধ্যে ইমন তাঁর পকেট থেকে ছুরি বের করে তানজিলের বুকে কয়েকটা আঘাত করে। এতে তানজিল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অন্যান্য বন্ধু ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কি নিয়ে তর্ক শুরু হয় তাক্ষণিকভাবে তা জানা না গেলেও সূত্র বলছে অনলাইন গেইম অথবা ফেসবুকে ছবি পোষ্ট করা নিয়ে তাঁদের মধ্যে তর্ক-বিতর্তের সুত্রপাত হয়। ইমন পান্টি বাজার এলাকার চা বিক্রেতা মিলন হোসেনের ছেলে।
ঘটনার প্রত্য্যক্ষদর্শী তাঁদের বন্ধু স্বাধীন জানান, তর্কবিতর্ক করার এক পর্যায়ে ইমন পকেট থেকে ছুরি বের করে তানজিলের বুকে ঢুকিয়ে দেয়। এতে তানজিলের মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে নিহতের বোন লামিয়া জানান, তাঁর ভাই কোচিং শেষে পান্টি স্কুল মাঠে পৌছালে ইমন পকেট থেকে ছুরি বের করে তাঁর বুকে মারে। কিন্তু কি কারণে ছুরি মারেছে তা তিনি জানেন না। এদিকে ঘটনার পরপরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে ঘাতক ইমন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু নিহত হয়েছে। তবে কি কারণে এমন ঘটনা তা তিনি জানতে পারেননি। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে আগের দিন শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ঘে দুইজন নিহত এবং কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়।