রিয়াজুল ইসলাম সেতু, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া শহরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট। কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল এলাকা ও এর আশপাশের এলাকায় এক সপ্তাহে চুরি হয়েছে বিভিন্ন মডেলের অন্তত ৪ থেকে ৫টি মোটরসাইকেল। চুরি যাওয়া এসব মোটরসাইকেল উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, বাইক মালিকদের অসচেতনাসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা।
বাইক চক্রের সদস্যরা বেশির ভাগ হাসপাতাল ও কোর্ট চত্বর এলাকায় ভিড় জমে মাক্স পরিধান করে চুরি করছে মোটর সাইকেল।
পুলিশ জানায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোটরসাইকেলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়ার পর থানায় অভিযোগ করতে আগ্রহী নয় ভুক্তভোগীরা। কিছু ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে চুরির তথ্য দিতে না পারায় উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না চুরি যাওয়া এসব বাইক।
তবে ভুক্তভোগীরা বলছেন, বাইক চুরির সিন্ডিকেটের বেশির ভাগই ইয়াবা কারবারসহ মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। শহরে মাদক চোরাচালানে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব চোরাই মোটরসাইকেল।
সর্বশেষ রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) আমিন ফার্মেসীর সামনে থেকে চুরি হয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোটর সাইকেল।
তিনি তাজা সংবাদকে জানান, এপাচি ১৫০ মডেলের প্রায় দেড় লাখ টাকার বাইকটি আমিন ফার্মেসীতে ওষুধ কিনতে গিলে নিচে পার্কিং থেকে বিকেলে চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। এর ১৬ দিনের মাথায় সদর হাসপাতাল থেকে থেকে চুরি হয় আরও একটি পালসার মডেলের মোটরসাইকেল। এক সপ্তাহে আশপাশের বিভিন্ন বিল্ডিং থেকে চুরি করে নিয়ে যায় অন্তত ৫-৬টি মোটরসাইকেল।
এলাকার স্থায়ী বাসিন্দারা বলেন,‘সম্প্রতি উদ্বেগজনকহারে বেড়েছে বাইক চুরির ঘটনা। কিন্তু এ সমস্যা সমাধানে স্থানীয় কিংবা প্রশাসনের কোন সদিচ্ছা নেই।’
উদ্বেগজনক হারে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন (ওসি) কামরুজ্জামান তাজা সংবাদকে বলেন, চুরির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েছি আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা সিসি ফুটেজের মাধ্যমে তারকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি। মাঠে সাদা পোশাকে পুলিশ টহল দিচ্ছি বলে তিনি জানায়।